Daily Bangla News paper

বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

বাবাকে কী করে বলবে, ওকে ভালোবাসো।

বুকে টিপটিপ শব্দ। সেই শব্দ নিজের কানে এসে লাগছে। ভয়ে হাত-পা কাপছে। আর রক্ষা নেই। বাড়িতে বলতে হবে ভালোবাসার মানুষটির কথা। কিন্ত কীভাবে? মা-বাবা কষ্ট পেলে? অন্যের মুখে শুনলে কষ্টটা যে দ্বিগুন হবে। এর থেকে নিজের বলে দেওয়াই ভালো। 

আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের এক জরিপে জানা যায়, মানসিক চাপের অন্যতম কারণ প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে না পারা। পাশ্চাত্যে ভালোবাসার মানুষটিকে সরাসরি পরিবারের সংগে পরিচয় করিয়ে দেয় ছেলেমেয়েরা। মা-বাবা জানতে পারছেন, তাদের সন্তান কার সংগে মিশছে। অজানা আশঙ্কায় তারা ভোগেন না। সন্তানেরাও হাফ ছেড়ে বাচে। আমাদেরশের অভিভাবকদের ভাবনাচিন্তায় আগের চেয়ে পরিবর্তন এসেছে। তার পরও অনেক সময় দেখা যায়, মেয়ের প্রেমের বিষয়টি তারা শুরুতে মানতে পারেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মেহতাব খানমের মতে, ‌'মা-বাবার সংগে সম্পর্কের ধরন ও তাদের মানসিকতার উপর নির্ভর করে , মেয়েটি তার প্রেমের কথা কীভাবে বলবে, নাকি বলবেই না। মায়ের চেয়ে বাবাকে বলতে স্বাচ্ছন্দ্যোধ করলে তােই বলা যেতে পারে। তারা যদি ছোট থেকেই সন্তানের বন্ধু হয়ে উঠতে পারেন, সন্তানের আস্থার জায়গাটি অর্জন করতে পারেন, তাহলে যে কোন কথাই সন্তান তাদের বলবে। এখন অবশ্য অনেক মা-বাবাই সন্তানের বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করেন। মা-বাবার সংগে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে তো পোয়াবারো। সম্পর্কের শুরুতেই তাদের জানিয়ে দিলে ঝামেলা মিটে গেল। প্রেমের কথা নিজের মুখে মা-বাবাকে বলতে খানিকা সংকোচ তো লাগেই, বিশেষ করে বাবাকে।  তাহলে উপায়? সাধারণত মেয়েকে মায়েরা বেশি বোঝেন। পরিস্থিতি বুঝে মাকে বলে ফেলতে হবে মনের কথা। মনোগ চিকিৎসক মোহিত কামাল বলেন, মায়ের মন ফুরফুরে দেখে বা মা-মেয়ের একান্ত ড্ডায় বলা ভালো। মাকেই অনুরোধ করুন, যেন বাবাকে বুঝিয়ে বলেন। তারা কিছু জিজ্ঞাসা করলে সত্য বলবেন। নয়ত পরে সত্যটা জানলে আপনার ওপর তাদের আগের মো বিশ্বাস আস্থা থাকবে না। মনে রাখতে হবে, এক দিেই সব বলা যাবে না। একটু একটু করে মা অথবা বাবাকে বলতে হবে। শুরুতে মা রেগে যেতে পারেন। একে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে হবে। চিৎকার-চেচামেচি করলে পরে ঝামেলা হতে পারে। ইকিহাওয়েবসাইটে ২০ হাজারবারের বেশি পঠিত একটি প্রতিবেদন হলো, কীভাবে মা-বাবাকে বলবেন প্রেমিকের কথা। এর সমাধানে বলা হয়েছে, মায়ের কাছেোনো কথা লুকাবেন না। যা জানতে চান, সরাসরি বলতে হবে। তিনি মেনে না নিলেও হাল চেড়ে দেওয়া যাবে না। আবার তাওপর জেদ করলেও চলবে না, বরং তাকে ভাবার সময় দিন। বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে, ভালোবাসার মানুষটিকে ছাড়া আপনি ভালো থাকবেন না। খেয়াল রাখতে হবে, একই সংগে মা-বাবাকে সম্পর্কে কথা না বলাই ভালো। আলাদা করে বলার ক্ষেত্রে মাকেই আগে প্রধান্য দিন। কিন্তু বাবার মুখোমুখি ো হতে হবে। মা যদি কোনো কারণে বাবাকে বোঝাতে ব্যর্থ হন, তাহলে তৃতীয় কারো সাহায্য নিতে হবে। 
্রেম থেকে প্রণয় হয়েছে সাদিয়া-সৌরভ দম্পতির। সাদিয়ার বাবা আচ করতে পারলেও ভুল ভাবছেন মনে করে পাত্তা দেননি। এদিকে সাদিয়াও ভেবে কুল পান না, কীভাবে বাবাকে বলবেন। োটবেলায় সাদিয়ার মা মারা যাওয়ায় বাবাই সব। বন্ধুর মতো হলেও বাবাকে ভীষণ ভয় পান সাদিয়া। এদিকে সৌরভ তাড়া দিতে থাকেন বিয়ের জন্য। সাদিয়া ছোট মামিকে সব খুলে বলেন। মামি বাবাকে বললেন।
সাদিয়া বলেন, মামির কাছে শুনে বাবা কষ্ট পেয়েছিলেন বটে, তবে আমাকে সেই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি। হয়তো বাবার কষ্ট পাওয়া মুখটা দেখলে বিয়েই করতে পারতাম না। মামিই বাবাকে বুঝিয়ে রাজি করিয়েছিলেন। সাদিয়ার মতো সমস্যায় পড়লে কাছের বন্ধু, পারিবারিক বন্ধু বা মা-বাবার কাছের কাউকে খুলে বলতে হবে সব কথা, যাতে তিনিই পুরো বিষয়টা সামলাতে পারেন। আবার এমনও হতে পারে, সন্তান যাকে পছন্দ করছে, তাকে অভিভাবকদের কিছুতেই পছন্দ নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ ক্ষেত্রে সন্তানের কথা ভেবে ছেলেটির বিষয়ে খোজখবর নিন। মেয়েটি কোনো ভুল সিন্ধান্ত নিচ্ছে কিনা, সেদিকে সজাগ থাকুন। অযথা আত্ম-অহংয়ের কারণে মেয়ের জীবনে কালো ছায়া নেমে আসতে পারে। মেয়ের পুরো কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। ছেলেটির সংগে বাইরে কোথাও দেখা করতে পারেন। সন্তানের পছন্দকে আপনি গুরুত্ব দিচ্ছেন, এটি বুঝলে সেও মা-বাবাকে আরো কাছের মানুষ মনে করবে। তখন তার ভুল হওয়ার কিংবা বিপদে পড়ার আশংকা কম থাকে।

মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

এই দিনে তুমি আর আমি- HAPPY VALENTINE'S DAY

ভালোবেসেছি, ভালোবাসি, ভালোবাসব- কথাগুলো প্রকাশ করার জন্য যা প্রয়োজন, সব করতে হবে। দুজন দুজনকে ভালো লাগার কথা বলে ফেলেছেন, একজনের ভালোবাসা ছুঁয়ে গেছে আরেকজনের মন- এরপর প্রথমবারের মত আপনার জীবনে এসেছে ভালোবাসা দিবস। যে দিনটিতে নিজের আবেগ, ভালোবাসার প্রকাশটা ঘটাতে পারেন। ইচ্ছেমতো, সারা দিনে একবার হলেও হাসি ফোটাতে হবে প্রিয় মানুষটির মুখে। তাই কীভাবে মনের মানুষের কাছে নিজের আবেগ তুলে ধরবেন, সেই পরিকল্পনাগুলো শেষ মুহুর্তে আরেকবার ঝালিয়ে নিতে পারেন। 

শত হলেও একসঙ্গে প্রথম ভালোবাসা দিবস। বছরের ৩৬৪দিন কী দোষ করল? এই এক দিনেই কি বোঝাতে হবে, আমি তোমায় ভালোবাসি। বছরের প্রতিটি দিনই তো ভালবাসার জন্য। তবে বিশেষ একটি দিন বিশেষভাবে পালন করলে ক্ষতি কী! বরং প্রিয় মানুষটির মনে যত অনুযোগ আছে, আপনার বিরুদ্ধে সেগুলোকে আলতো টোকায় সরিয়ে দেওয়ার জন্য এ দিনটিই মোক্ষম। 

তো কী করা যায় ভালোবাসা দিবসে? আসুন জেনে নিই। তালিকার প্রথমেই আসবে উপহারের কথা। উপহার দিতেই হবে, তা নয়। প্রথম ভালোবাসা দিবসে কিছু একটা দেওয়ার বাসনা হতেই পারে। এ ক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য ছোট পাথর বসানো রুপার লকেট কিংবা দুল হতে পারে আদর্শ উপহার। ছেলেদের জন্য ওয়ালেট, বেল্ট কিংবা স্যান্ডেল হতে পারে। এছাড়াও হাতে তৈরি ডায়েরি বেশ ভালো উপহার হতে পারে। দুজনার সুন্দর মুহুর্তগুলো সেখানে আটকে রাখা যাবে। এ ছাড়া ছবির ফ্রেম, ব্যাগ, ফতুয়া, শার্ট, সালোয়ার-কামিজ ও শাড়ী উপহার হিসেবে মন ভালো করে দেবে। আর ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে পাঠাতে পারেন বিশেষ এসএমএস অথবা ই-মেইলে মেসেজ।
এ দিনটিতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য নিরাপদ স্থান বেছে নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যেহেতু আপনার প্রথম ভালোবাসা দিবস, শুধু দু'জনে মিলেই উদযাপন করুন। অকারণে ঝগড়া না করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যেটুকু সময় পাবেন, নিজেদের মতো করে সাজিয়ে নিন। পছন্দ করেন, এমন কোনো জায়গায় খেতে পারেন। প্রিয় মানুষটি কোনো পরিকল্পনা না করলে আপনি করে ফেলুন। শত হলেও আপনার প্রথম ভালোবাস দিবস। সুন্দর কিছু মুহুর্তই স্মরণীয় করে রাখবে দিনটিকে।